মৃত্যুর পরেও মানুষ বেচেঁ থাকে
পৃথিবীতে, হ্যাঁ মনুষ্য সমাজে
আর এখানেই সে বিচরণ করে।
মুক্তি পেতে চায় সে প্রেতাত্মা
পৃথিবীর বন্ধন থেকে, দায়িত্ব থেকে,
মায়া থেকে, কায়া থেকে।
অপরাপর মৃতের মত তার-
রক্ত হীমশীতল, জমাট নয়,
আগুনের ফুলকী, পোড়া মাটির ছাঁই,
ধুসর ধোয়াঁর গন্ধ।
ঘুটঘুটে অন্ধকারে সে যেতে চায়
অন্য প্রেতাত্মাদের মত,
আলো তাকে মুক্তি দেয় না,
ঘন কালো মেঘ, ভয়ংকর ঝড়মূর্তির-
শাঁ শাঁ ভূতুড়ে শব্দের মাঝে সে
হারিয়ে যেতে চায়,
ঊষা তাকে মুক্তি দেয় না।
জীবন্ত মানুষের মত, সবুজ-নীলাভ স্বপ্ন
চাওয়া, পাওয়া, লেন-দেন নেই তার,
নেই স্নায়ুর স্পন্দন।
তবু কেন তার মুক্তি নেই?
কেন পারে না যেতে মৃতের দেশে?
জবরদস্তী করে মায়ারা তাকে-
বেধেঁ রাখে এ রঙ্গিলা কয়েদখানায়।
চারিপাশে তাদের ভালবাসার গান
তার কাছে মনে হয়-
হাজার হাজার শুকরের প্রসব বেদনার আত্মনাদ
নিঃশব্দ চিৎকার করে বলতে থাকে সে
মুক্তি দাও, মুক্তি দাও, মুক্তি দাও।